Wednesday 20 December 2017

TO DAY ASHAR ALO.COM

 তৃতীয় দিনের মতো আদালতে খালেদা জিয়া
  goo.gl/UXf7iX জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তৃতীয় দিনের মতো আদালতে হাজির হয়েছেন খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হন বিএনপি চেয়ারপারসন। আজ তাঁর পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন। গতকাল বুধবারও এই মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য ছিল। আবদুর রেজ্জাক খান যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। যুক্তিতর্কের শুনানির সময় আবদুর রেজ্জাক খান আদালতকে বলেন, ‘এটি একটি অসার যুক্তিহীন সৃজিত মামলা।’ এর আগে গত মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যুক্তিতর্কের শুনানি শেষ করে। যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে দুদক খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা চায়। দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তিনি আদালতকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আসামি হলেন খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এর মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আসামি হলেন খালেদা জিয়াসহ চারজন।



জাতিসংঘের সফরে নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারের



  goo.gl/UXf7iX




মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতিবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র‍্যাপোর্টিয়ার ইয়াংহি লিকে তাঁর মেয়াদকালে সেখানে যেতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে দেশটি। তাঁকে কোনো সহযোগিতাও করবে না মিয়ানমার। মিয়ানমার যে সে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জাতিসংঘকে সহযোগিতা করবে না, সে বার্তা আবারও িদল জাতিসংঘের মানবাধিকার স্থায়ী প্রতিনিধি.
রাখাইনে রোহিঙ্গা নির্যাতনসহ মিয়ানমারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য আগামী মাসে ইয়াংহি লির সে দেশে যাওয়ার কথা ছিল। গতকাল বুধবার জেনেভা থেকে এক বিবৃতিতে তিনি মিয়ানমারের এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানান।

রোহিঙ্গাদের রাখাইনে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরুর জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমার যৌথ কমিটি গঠনের এক দিন পর ইয়াংহি লি এ তথ্য জানালেন। দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবদের নেতৃত্বে যে কমিটি হয়েছে, তা রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত, পুনর্বাসন ও পুনঃপ্রতিষ্ঠা—তিন ক্ষেত্রেই জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাসহ (ইউএনএইচসিআর) জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাকে যুক্ত রাখবে। ইয়াংহি লিকে ভবিষ্যতে মিয়ানমার সফরে নিষেধাজ্ঞার পর এখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আদৌ জাতিসংঘকে দেশটি যুক্ত রাখবে কি না, সে প্রশ্নটি সামনে চলে এল।
ইয়াংহি লি বিবৃতিতে বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের এ সিদ্ধান্ত আমাকে বিস্মিত ও হতাশ করেছে। আমাকে মিয়ানমারের সহযোগিতা না করার ঘোষণার মধ্য দিয়ে এটি পরিষ্কার হয় যে রাখাইনসহ দেশের অন্যান্য স্থানে অবশ্যই সাংঘাতিক কিছু ঘটেছে।’

দুই সপ্তাহ আগে জেনেভায় মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি তিন লিন জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে জানিয়েছিলেন, গত জুলাইয়ে ইয়াংহি লি যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে আর সহযোগিতা করা হবে না। মিয়ানমার সরকার ওই প্রতিবেদনকে পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে অভিহিত করেছে। ওই প্রতিবেদনে ইয়াংহি লি বলেছিলেন, গত জানুয়ারিতে রোহিঙ্গাদের যে পরিস্থিতি তিনি দেখেছেন, তার কোনো উন্নতি হয়নি; বরং পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

২০১৪ সালের জুনে ইয়াংহি লি মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতিবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র‍্যাপোর্টিয়ার হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর তাঁর দুবার মিয়ানমার সফরের কথা। গত বছরের অক্টোবরে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ামনারের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ বছর জানুয়ারি ও জুলাইয়ে দেশটি সফর করেন। মাঝে ফেব্রুয়ারিতে তিনি বাংলাদেশে এসে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের দেখতে যান। এ বছরের মার্চে ইয়াংহি লির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।

লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইয়াংহি লিকে মিয়ানমার যেতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। অ্যামনেস্টির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক জেমস গোমেজ গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, জাতিসংঘের বিশেষ র‍্যাপোর্টিয়েরের সফরে মিয়ানমার সরকারের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত জঘন্য কাজ। নিজেদের মানবাধিকারের খতিয়ানের আন্তর্জাতিক নজরদারি এড়াতে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ যা ইচ্ছে, তা-ই করবে এটা তার আরেকটি ইঙ্গিত। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে যে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এসেছে, সে সময়টাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
জেমস গোমেজ বলেন, ‘গত কয়েক মাসে কোনো অন্যায় করেনি বলে দাবি করে আসছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। যদি তা-ই হয়, সেখানকার কর্তৃপক্ষের তো কোনো কিছু লুকানো উচিত নয়—কেন তারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তকারীদের যেতে দিচ্ছে না?’



পোলিং এজেন্ট বের করে দেয়া হচ্ছে: রিজভী


রংপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হচ্ছে না বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটি করেছে দাবি, বিএনপির পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে দলটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম- রংপুর সিটি কর্পোরেশনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ইসির ভূমিকা রহস্যজনক। নির্বাচন কেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা। এ ছাড়া গতরাতে শহীদুল নামে বিএনপির এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধানের শীষের প্রার্থী কাওছার জামান বাবলার বরাতে রিজভী অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকিধমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও গত দুদিন ধরে ক্ষমতাসীন দল ও জোটের তাণ্ডবে সেখানে ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। বিএনপি ও বিএনপিসমর্থিত ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, তারা যেন ভোট কেন্দ্রে না যায়। এ সময় রিজভী জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির নেতা ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। বিএনপি নেতা বলেন, এসবের পরও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা নির্বিকার থেকেছেন। রিজভী আরও বলেন, আমরা সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি তুললেও ইসি সেনা মোতায়েন করেনি। বরং সেখানে আনসার সদস্যের নামে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের নেতাকর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে।